ফেনীর ভূখণ্ডকে পণ্ডিতেরা প্রাচীন বলে আখ্যা দিয়েছেন। এখানকার ছাগলনাইয়া উপজেলার শিলুয়া গ্রামে এক প্রাচীন ঐতিহাসিক শিলামূর্তির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে; যা প্রমান করে, এখানে হয়ত বৌদ্ধ ধর্ম ও কৃষ্টির বিকাশ ঘটেছিল। তাছাড়া এখানে বেশ কয়েকটি পুরাকীর্তি স্থাপনাও রয়েছে। এর মধ্যে সাত মঠ অন্যতম।
সাত মঠ ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার একটি প্রাচীন মঠ। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। ছাগলনাইয়ার হিন্দু জমিদার বিনোদ বিহারির বাড়িটি আট একর জায়গাজুড়ে নির্মিত। বর্তমান উপজেলা শহরের পশ্চিমে বাঁশপাড়ায় এর অবস্থান।
সাতমঠের একটির মাথা ভেঙে গেছে। তাই দূর থেকে ছয়টির মাথা দেখা যায়। এগুলো মূলত চিতা মন্দির। এজন্য বিনোদ বিহারির বাড়িটির নাম সাত মন্দির বাড়ি বা রাজবাড়ি বা সাত মঠ হিসেবে পরিচিত পেয়েছে।
এক সঙ্গে সাতটি মঠ ফেনীর ছাগলনাইয়া ব্যাতিত বাংলাদেশের অন্য কোথাও আর দেখা যায় না। প্রতিটি মন্দিরের গায়ে অপূর্ব দৃষ্টিনন্দন কারুকাজ করা আছে। প্রতিটি মন্দিরের চূড়া একটি অন্যটির থেকে ভিন্ন! সাতটা মঠ কিন্তু একসারিতে নয়, দুটো সারিতে দাঁড়িয়ে আছে। এক সারিতে তিনটি, অন্য সারিতে চারটি। এভাবে একটা সমকোণ তৈরি করেছে।
জানা যায়, ১৯৪৮ সালের দিকে জমিদার বিনোদ বিহারি তার সমস্ত সম্পদ ফেলে কলকাতা চলে যান। বর্তমানে স্থানীয় বাসিন্দারা এখানে বসবাস করেন। এটি ফেনী জেলার প্রাচীন একটি মন্দির বা মঠ।
যেভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে ট্রেনে ও বাসে ফেনী যাওয়া যায়। ফেনী স্টেশন রোড থেকে ছাগলনাইয়ার সিএনজি পাওয়া যায়। ছাগলনাইয়া বাজার থেকে সাত মঠ খুবই কাছে। পায়ে হেঁটেই চলে যেতে পারবেন। এছাড়া ছাগলনাইয়া বাজারে যে কাউকে সাতমঠ কিংবা সাত মন্দির যাওয়ার উপায় জানতে চাইলে বলে দেবে।
আবার ফেনী থেকে ছাগলনাইয়া আসার পথে সিএনজিচালককে বললে সে হয়তো সাতমঠ যাওয়ার গলির সামনে নামিয়ে দেবে। কারণ ছাগলনাইয়া বাজারের একটু আগেই সাত মঠ যাওয়ার রাস্তা।
সাত মন্দির নিয়ে আরেকটি লিখা (ইংরেজী)
***ফেনী অনলাইন সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।***
@FeniOnline
Comments