১৯৭১ সালের ৪ নভেম্বর। দিনভর বৃষ্টি রাতেও ছিল। অন্ধকারে মুহুরী নদীর পাড় ঘেঁষে পরশুরামে প্রবেশ করেন ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যরা। দু’জন সেনা কর্মকর্তার অধীনে এদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রশিক্ষিত ইপিআর সদস্য আর মুক্তিযোদ্ধা।
অক্টোবরের শেষ দিকে ভারতীয় জেনারেল আরতী হীরা ও সেক্টর কমান্ডারের সঙ্গে বৈঠক হয় সাবসেক্টরের কমান্ডার মেজর জাফর ইমামের।
সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় রাজপুত ও গুর্খা বাহিনীর কমান্ডাররাও। স্যান্ড মডেলের ওপর পরিকল্পনা বুঝে নেওয়া হয়। আর তা হচ্ছে, শত্রু- অবস্থানের মাঝবরাবর অতর্কিতে ঢুকে পড়ে তাদের অপ্রস্তুত ও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া। যুদ্ধের ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল।
বিলোনিয়া সীমান্তে মজুমদারহাট ইপিআর ক্যাম্প দখল করে রেখেছিলো পাঞ্জাবি ইপিআর সদস্যরা।
পাকবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা চিথলিয়া ও পরশুরাম ঘাঁটির মধ্য দিয়ে অনু্প্রবেশ করে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার জন্য এমন অভূতপূর্ব পরিকল্পনাই নেওয়া হয়। রীতিমতো অসম্ভব! একে অপরের মুখের দিকে চাইছিলেন। তবে প্রয়োজনীয় সাহায্য পেলে এই অসম্ভবও করা সম্ভব–এমন চ্যালেঞ্জই ছুড়ে দেন জাফর ইমাম।
যথাসময়ে ওয়ারলেস-সেট, এমএমজি ও আর.আর. সরবরাহ বাড়ানো হয়। মেজর শফিউল্লাহর ৩ নং সেক্টর থেকে ক্যাপ্টেন হেলাল মোরশেদের নেতৃত্বে ২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের এক কোম্পানি সৈন্য পাঠানো হয়। ১ নং সেক্টরকেও সাহায্যের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়।
৪ তারিখের বৃষ্টিকে এখনো আশির্বাদ হিসেবেই দেখে থাকেন মুক্তিযোদ্ধারা। নইলে রাতে এই বিশাল বাহিনীর অনুপ্রবেশের সময় নিঃশব্দে এগোনো সম্ভব হতো না। বৃষ্টির কারণে বাংকারেই অবস্থান করছিল হানাদারেরা। এবং বাড়তি আওয়াজ কানে যায়নি ওদের। মুহুরী নদীতীর ধরে অন্ধকারে মিলিয়ে যেতে থাকেন মুক্তিযোদ্ধারা।
এসময় অনিয়মিত বাহিনী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর একটি নির্দেশনা ছিল। তারা যেন ফায়ার অন না করেন। পাকিস্তানি বাহিনী ১০০ মিটারের কাছে চলে এলেই যেন ফায়ার ওপেন করা হয়।
মজুমদারহাট ইপিআর ক্যাম্পে পাঞ্জাবি ইপিআরদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ বাঙ্গালি ইপিআর সদস্যদের সমাধিস্থল।
৫ তারিখে ভোর হওয়ার আগেই চিথলিয়া থেকে পরশুরামের মাঝখানে পূর্ব-পশ্চিম বরাবর বাংকার খুঁড়ে নিজেদের অবস্থান মজবুত করে নেন মুক্তিযোদ্ধারা। বিলোনিয়া থেকে ফেনী পর্যন্ত রেললাইনের সঙ্গে সমান্তরাল কাঁচা রাস্তায়ও মুক্তিবাহিনী অপেক্ষা করছিল বাংকারে। এসময় একটি ট্রলিতে পাকিস্তানি সেনারা অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে আসছিল চিথলিয়ার দিক থেকে। আগের রাতে নীরবে যে মুক্তিযোদ্ধারা এতো কাছে চলে এসেছে তা ঘুনাক্ষরেও জানতো না হানাদারেরা। ট্রলিটি তখন মাত্র কয়েক গজ দূরে। পথের ধারের বাংকার থেকে গর্জে ওঠে হাবিলদার এয়ার আহাম্মদ এবং তার সঙ্গীদের অস্ত্র। উল্টে গেল ট্রলি, মারা পড়ল হানাদারেরা। আবেগকে সংবরণ করতে না পেরে এয়ার আহম্মদ ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে উঠে গেলেন শত্রুদের অস্ত্র কেড়ে নেয়ার জন্যে। এমন সময় চিথলিয়া ঘাঁটি থেকে হানাদারদের একটি বুলেট এসে বিঁধলো এয়ার আহম্মদের বুকে। বাঙ্কারের মুখেই ঢলে পড়লেন তিনি।
এরই মধ্যে পাকিস্তানি বাহিনী বুঝতে পারলো, পরশুরাম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে যাচ্ছে। বাংকার লক্ষ্য করে গুলিবৃষ্টি করতে থাকে তারা। শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মুক্তিযোদ্ধারাও। পরশুরামের হানাদারেরা মরণপণ যুদ্ধে লিপ্ত হলো। তাদের লক্ষ্য ছিল, যে করেই হোক চিথলিয়ার সাহায্য পাওয়া। কিন্তু সেটাকে অসম্ভব করে তোলেন ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যরা এবং মুক্তিযোদ্ধারা।
চিখলিয়া থেকে আসা রেললাইনের পাশে বাংকার থেকে গুলি করে এয়ার আহম্মদ। শত্রুদের গুলিতে এখানেই শহীদ হন তিনি।
৬ তারিখও চলে দিনব্যপী যুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে বিকেলে শুরু হয় বিমানহামলা। পাকবাহিনী জানতো বাংলাদেশি এই বাহিনীর কাছে বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র নেই। তিনটি বিমান বেশ নিচু দিয়ে উড়ে গোলাবর্ষণ(স্ট্র্যাফিং) করছিল। গ্রামের বাড়িঘর, শস্যক্ষেতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে, ধ্বংস হতে থাকে সব। তবে বিমানবিধ্বংসী কামান না থাকলেও মেশিন গান থেকে হানাদার বিমান লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকেন বাঙালি সেনারা। তাতে কাজ না হলেও একটি হানাদার বিমান হামলা শেষে নিজেদের ঘাঁটিতে ফেরার সময় ভূপাতিত হয়।
সেই রাতেই ভারতীয় মিত্রবাহিনী ও তাদের গোলন্দাজ বাহিনীর সহায়তায় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট পরশুরামে পাকিস্তানিদের ওপর মরণকামড় বসায়। অতর্কিত আক্রমণে দিশেহারা হয়ে হানাদার পাকিস্তানি সেনারা দ্বিগ্বিদিক ছুটতে থাকে। মারা পড়ে এদের অনেকে। আর ২ জন অফিসার ও ৭০ জন পাকিস্তানি সৈন্যকে জীবিত আটক করে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়।
৭ নভেম্বর মুক্ত হয় পরশুরাম। শত্রুসেনারা আরো পিছিয়ে চলে যায় মির্জানগর হাটের দিকে। মিত্রবাহিনীসহ সেদিকে অগ্রসর হন মুক্তিযোদ্ধারা। আরো পিছিয়ে ফুলগাজী এবং পরে ফেনীর দিকে চলে যায় তারা।
স্বাধীনতাযুদ্ধে ফেনীর ভৌগলিক অবস্থান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ফেনীর ওপর দিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের যোগাযোগ রক্ষা হতো। বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের ওপর কর্তৃত্ব রাখতে হলেও ফেনী ছিল টার্নিং পয়েন্ট। আর দক্ষিণ দিক ছাড়া পরশুরাম ও বিলোনিয়ার তিনদিকেই ভারতীয় সীমান্ত হওয়ায় স্থানটিতে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের কৌশল নেয় পাকিস্তানি বাহিনী। এ কারণে মুন্সীরহাটে ফেনীর দিকে মুখ করা মুক্তিযোদ্ধাদের ডিফেন্সের ওপর এপ্রিলের শুরু থেকেই নিয়মিত আঘাত হানা চালিয়ে যায় তারা।
২৫ মার্চ রাতে নিরীহ বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানিদের হামলার পর থেকেই সীমান্ত এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে তার রেশ। বিভিন্ন স্থানের মতো বিলোনিয়া সীমান্তের বাঙালি ইপিআর সদস্যরাও নিজেদের ক্যাম্প থেকে অবাঙালিদের নিরস্ত্র করে বের করে দেন বা হত্যা করেন। তবে ভারতের বিলোনিয়া সীমান্তের কাছে মজুমদারহাট ইপিআর ক্যাম্পে ছিল পাকিস্তানি ইপিআর সদস্যদের শক্ত ঘাঁটি। ২৭ মার্চ আশপাশের ক্যাম্পগুলো থেকে জনাবিশেক বাঙালি ইপিআর মজুমদারহাটে এসে অবাঙালিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। রাজি না হওয়াতে দুই পক্ষ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। উভয়পক্ষেরই প্রায় সবাই নিহত হন।
পরশুরাম পাইলট হাইস্কুল মাঠে কাঠের বন্দুক দিয়ে আনসারের হাবিলদার ইসহাকই সর্বপ্রথম প্রতিরোধের জন্যে যুবকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা খাজা মোহাম্মদও সেটির দেখাশুনা করতেন। সমর কৌশলের বিবেচনায় এই প্রশিক্ষণের গুরুত্ব না থাকলেও জনতাকে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিল। পরে এ অঞ্চল থেকে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের রিক্রুটিং হতো ত্রিপুরার হরিণাক্যাম্পে। সেখান থেকে অম্পিনগরে নিয়ে দেয়া হতো প্রশিক্ষণ।
নভেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী এক পরিবারের ৫ জনকে হত্যা করে।
এপ্রিলের শুরুর দিকেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে মেজর জাফর ইমামসহ ৪ জন অফিসার ঢাকা থেকে ত্রিপুরার মেলাঘরে যান। সেখানে তারা ২ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর খালেদ মোশাররফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিলোনিয়ার দায়িত্ব বুঝে নেন।
এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ২ নং সেক্টরের অধীনে সাব-সেক্টর ২ গঠিত হয় ফেনী তথা বৃহত্তর নোয়াখালীর অংশ নিয়ে। ছাত্র, শ্রমিক, জনতা ও প্রাক্তন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআর ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে এই সাবসেক্টর সংগঠিত হয় এবং পরবর্তী সময়ে গঠিত হয় ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা, দাউদকান্দি,শরীয়তপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালি, লক্ষ্মীপুর ছিল সেক্টর-২ এর অর্ন্তগত।
ফেনীর মুন্সিরহাটে নিয়মিত বাহিনী এবং ইপিআর ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে শক্তিশালী ডিফেন্স গড়ে তুলেছিলেন জাফর ইমাম। লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানি বাহিনীকে বিলোনিয়ার দিকে প্রবেশ করতে না দেয়া এবং ফেনীর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা।
বিলোনিয়ার দ্বিতীয় যুদ্ধের শেষ সময় সুলিয়া দীঘির পাড়ে মল্লযুদ্ধে অবতীর্ণ হয় মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকসেনারা।
তবে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রবল আক্রমণের মুখে ১৭ জুলাই ফেনীর মুন্সিরহাট থেকে ডিফেন্স উইথড্রো করে নিতে হয় জাফর ইমামদের। মাইনের কারণে পাকিস্তানি বাহিনী সামনে অগ্রসর হতে না পেরে পেছন দিক থেকে হেলিকপ্টারের সাহায্যে আক্রমণ শরু করে। এতে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে পিছু হটতে বা উইথড্রো করতে হয়।
এরপরের তিন মাস ধরে চলে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা বাড়ানো এবং শক্তি বৃদ্ধি করা। ভারতে সীমান্তের ভেতরে রাজনগর ও বড় কাছারিতে স্থাপিত হয় ট্রেনিং ক্যাম্প। মুক্তিযোদ্ধারা গেরিলা হামলায় ব্যতিব্যস্ত রাখেন হানাদারদের। ভারতের চোত্তাখোলায় নিজ তত্ত্বাবধানে একটি ক্যাম্প পরিচালনা করেন আওয়ামীলীগ এমপি মরহুম খাজা আহম্মদ।
ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্র মীর হোসেন ত্রিপুরার আম্মিনগরে ছিলেন সেকেন্ড ব্যাটেলিয়ানে। সেখানে ছিলেন ভারতীয় ক্যাপ্টেন রানা ও গোরং। ক্যাম্পের ইনচার্জ ছিলেন ক্যাপ্টেন আব্রাহাম। মিত্রবাহিনীর এই যোদ্ধাদের চিনতেন মীর হোসেন।
ইতিহাসে বিরল বিলোনিয়ার দ্বিতীয় যুদ্ধের স্মৃতিতে নির্মিত স্তম্ভ।
পরশুরামে মীরের ২ ভাইকে পাকিস্তানি বাহিনী ধরে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলে। ঘটনাটি শুনে সাবসেক্টর কমান্ডার জাফর ইমাম তাকে ডেকে প্রশিক্ষণের দায়িত্ব দেন। কেননা আগে থেকেই তার পাকিস্তান থেকে মুজাহিদ বাহিনীর ট্রেইনিং করা ছিল। ত্রিপুরার সুবার বাজার ফরেস্ট অফিসে ক্যাম্প করেন তিনি। সেখানে ৫০ থেকে ৬০ জনকে প্রশিক্ষণ দেন।
বিলোনিয়ার জগন্নাথ দীঘি থেকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত সীমান্ত দিয়ে মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় বাহিনী প্রবেশ করতো এবং অপারেশন শেষে আবার ফেরত যেতো। বিভিন্ন সময়ে সাতকুচি, পাঠান নগর, চিতুনিয়া স্টেশনে হানাদারদের ওপর গেরিলা হামলা করে মুক্তিবাহিনী।
ফেনীকে নিরাপদ রাখতে জগন্নাথ দিঘীর পাশে একটি ব্রীজ ৭ বার ভেঙে দেয় মুক্তিবাহিনী। রাতের বেলা ভেঙে দেবার পর আবার দিনের বেলায় তা মেরামত করতো পাকিস্তানিরা। রাতের বেলা শত্রুরা বাংকারেই থাকতো। ভয়ে খুব বেশি বের হতো না। কারণ ততদিনে অচেনা ভূমিতে গেরিলা-আতঙ্ক ভর করেছিল তাদের ওপর। গেরিলাদের ওপর সাবসেক্টর কমান্ডারদের নির্দেশনা ছিল শত্রুকে যেন ব্যতিব্যস্ত রাখা হয়। যেন ওরা ঘুমানোর ফুরসত না পায়।
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে পাকবাহিনীকে পরশুরাম ও চিথলিয়াতে কোনঠাসা অবস্থানে রেখে ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের লে. দিদার ও লে. মিজানের নেতৃত্বে দুই কোম্পানি সৈন্য ও মিত্রবাহিনী ফুলগাজীতে হামলা করে। এক মাইল এলাকাজুড়ে দুই পক্ষের ভয়াল এই যুদ্ধে ৬০ জন শহীদ হন। এদের মধ্যে ৫৫ জনই ছিলেন ভারতীয়।
বাংলানিউজের কাছে বিলোনিয়া যুদ্ধের বর্ণণা করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
এরপরই পরশুরামকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনার নিয়ে এগোয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং মিত্রবাহিনী।
১৭ জুলাই ডিফেন্স উইথড্রওয়ালের পর ৩ নভেম্বর থেকে যুদ্ধশেষ পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনী সব ধরনের অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে সাহায্য করে। ৩ নভেম্বর থেকে এ অঞ্চলে অপারেশন কমান্ডার হিসেবে নিয়োজিত হন ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল আর. ডি. হীরা। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর রাজপুত এবং গুর্খা রেজিমেন্ট ও ভারতীয় আর্টিলারি বাহিনীর যুদ্ধে সহযোগিতার পরিকল্পনা দেন। ৩ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মিত্রবাহিনী এবং ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ২ নং সেক্টরে একসঙ্গেই যুদ্ধ করে। এ সময় বাঙালি সেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি মিত্রবাহিনীরও অনেক সৈন্য শহীদ হন।
……………………..
তথ্য দিয়েছেন: পরশুরাম মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শাহরিয়ার হুমায়ুন, সাংগঠনিক কমান্ডার সুবেদার কলিমউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা নজিউল ইসলাম, মেজর (অব) মীর হোসেন।
বাংলানিজউজ ২৪ হতে সংগৃহীত
***ফেনী অনলাইন সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।***
@FeniOnline
Comments